হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত – হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুরা এই পোস্টে  আমরা হস্তমৈথুনের কত দিন পর এটি করতে হবে এবং হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি জানব। প্রকৃতপক্ষে, হস্তমৈথুনের কত দিন পর এটি করতে হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে দিনে একবার হস্তমৈথুন করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন আপনার দৈনন্দিন জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত – হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক জেনে নিন

হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত - হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক

হস্তমৈথুনের কত দিন পর বা কত দিন পর বীর্যপাত হয় সে সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। আসলে হস্তমৈথুন এবং বীর্যপাত মানবদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবিবাহিত নারী-পুরুষ এই ধরনের কার্যকলাপ করে থাকেন। কিছু লোক এই প্রক্রিয়ায় আসক্ত হয়ে ঘন ঘন হস্তমৈথুন করে, যা স্বাভাবিকভাবেই মানসিক রোগে পরিণত হয়। প্রায় 80 শতাংশ মানুষ আজ এই মানসিক রোগে আক্রান্ত। হস্তমৈথুন সম্পর্কে প্রতিটি মানুষের সঠিক ধারণা থাকা উচিত, সেই সাথে কত দিন পর বীর্যপাত করতে হবে, অর্থাৎ কত দিন পর বীর্যপাত হলে কোন শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলার তার শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতি 2-3 দিনে একবার হস্তমৈথুন করা উচিত। তবে শারীরিক ও মানসিক চাহিদার ভিত্তিতে দিনে একবার হস্তমৈথুন করা যেতে পারে। কিন্তু এর বেশি করলে বা ঘন ঘন বীর্যপাতের নেশা হলে তা মানসিক রোগে পরিণত হয়, যা একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে।

একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নিয়মিত হস্তমৈথুন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। যেহেতু হস্তমৈথুনের ফলে আমাদের শরীর থেকে প্রোটিনসহ আরও উপকারী হরমোন নিঃসৃত হয়, তাই যৌনতায় আসক্তির কারণে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে কি হয় অর্থাৎ হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর দিকগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ

অতিরিক্ত মাস্টারবেশন করলে কি হয়

শীঘ্র পতনঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা এবং বীর্য ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব করে তোলে। ফলে সহবাসের সময় উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা এবং বীর্য ধরে রাখা অসম্ভব।

যৌন জীবনে অশান্তিঃ অকাল বীর্যপাত হলে বীর্য পাতলা হয়ে যেতে পারে, লিঙ্গ শক্ত নাও হতে পারে এবং সহবাসে অনীহা হতে পারে। এতে যৌন সঙ্গীর সাথে দ্বন্দ্ব ও অশান্তি হতে পারে।

সন্তান হীনতাঃ অতিরিক্ত বীর্যপাতের কারণে শুক্রাণুর মান কমে যায় এবং শুক্রাণুর পরিমাণও কমে যায়। যেখানে একটি সন্তানের জন্ম দিতে প্রায় 200 মিলিয়ন শুক্রাণুর প্রয়োজন হয়, সেখানে একটি ঘাটতি দেখা দেয়, যার ফলে সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় হরমোন, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম প্রচুর পরিমাণে বের হয়ে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সর্বোপরি শরীরে নানা রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে।

ওজন কমে যাওয়াঃ  অতিরিক্ত হস্তমৈথুন হজমশক্তি হ্রাস করে, ফলে ক্ষুধা ও খাবারের ইচ্ছা কমে যায়। ফলস্বরূপ, পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় এবং শরীরের ওজন হ্রাস পায়।

অন্তরঙ্গে জ্বালা ও ব্যাথাঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যোনি ও লিঙ্গে তীব্র ঘর্ষণ হয়। ফলস্বরূপ, সমস্ত সময় অন্তরঙ্গ এলাকায় তীব্র জ্বালা এবং ব্যথা অনুভূত হয়।

দৃষ্টি শক্ত কমে যাওয়াঃ আপনি লক্ষ্য করবেন যে হস্তমৈথুন ও বীর্যপাতের পর চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায় এবং চোখ বন্ধ হয়ে যায়। হস্তমৈথুনের ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান নিঃসৃত হয়, তাই অতিরিক্ত হস্তমৈথুন দৃষ্টিশক্তি কমাতে পারে এমনকি দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারে।

মানসিক অস্থিরতাঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন শরীরকে দুর্বল, মানসিকভাবে ক্লান্ত ও খিটখিটে করে। ফলে একাগ্রতার সঙ্গে কোনো কাজ করা যায় না।

শারীরিক দুর্বলতাঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন শরীরকে দুর্বল করে, শরীর মাথা ঘোরা, শরীরের উত্তেজনা কমে যায়। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমনকি যৌন ক্ষমতাও হারিয়ে যেতে পারে।

হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি

হস্তমৈথুনের যেমন অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তেমনি পরিমিতভাবে হস্তমৈথুনের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। হস্তমৈথুন শরীরের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, উদ্বেগ ও উদ্বেগ কমায়, অতিরিক্ত শুক্রাণুর কারণে অসুস্থতা কমায় এবং অনিদ্রা দূর করে। হস্তমৈথুনের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাকঃ-

উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণঃ বয়ঃসন্ধির সময় মানুষ যে শারীরিক চাহিদা বা উত্তেজনা অনুভব করে তা হস্তমৈথুন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যৌন সঙ্গীর অনুপস্থিতিতে শারীরিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় হস্তমৈথুন।

মানসিক তৃপ্তিঃ হস্তমৈথুন এন্ডোরফিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে এবং শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায়, ফলে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়, যা মানসিক যন্ত্রণা, বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

যৌন তৃপ্তিঃ হস্তমৈথুনের ফলে শরীর থেকে অর্গ্যাজম এবং বীর্যপাত হয়, যা শরীরে যৌন তৃপ্তি দেয়। ফলে যৌন সঙ্গী ছাড়াই যৌন তৃপ্তি পাওয়া যায়।

অনিদ্রা প্রতিরোধঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, বীর্যপাতের সময় শরীর থেকে অক্সিটোসিন এবং প্রোল্যাকটিন নামে দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়। এই দুটি হরমোন নিঃসরণের ফলে শরীরে শিথিলতা ও ঘুম আসে। ফলে অনিদ্রাজনিত রোগ প্রতিরোধ হয়।

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা অনুসারে, যারা সপ্তাহে 21 বারের বেশি হস্তমৈথুন করেন তাদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার ঝুঁকি 33 শতাংশ কম থাকে।

সুস্থ হার্টঃ হস্তমৈথুনের ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়, যা হৃদপিণ্ডকে আরও সক্রিয় করে তোলে। এই বর্ধিত হৃদস্পন্দন হার্টকে কিছু ব্যায়াম করতে বাধ্য করে, যা শ্বাসযন্ত্র এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।

হস্ত মৈথুন থেকে বাচার উপায়

হস্তমৈথুন একটি শারীরিক প্রক্রিয়া যা একবার অভ্যাসে পরিণত হলে কার্যত এটি একটি মানসিক রোগ বা আসক্তিতে পরিণত হয়, যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এই অভ্যাস যৌনজীবনকে ব্যাহত করে। তবে হস্তমৈথুন এড়ানোর কিছু উপায় আছে যা নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের সাথে অনুসরণ করে এই মানসিক আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

একা থাকা যাবে নাঃ গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা যখন তাদের অবসর সময় একা কাটায়, তখন তারা হস্তমৈথুনের কথা মনে করে এবং ঘন ঘন হস্তমৈথুন করে। হস্তমৈথুনের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল একা থাকা, তাই আপনি নিজেকে একা না রাখার চেষ্টা করুন এবং আপনার অবসর সময়ে বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এভাবে হস্তমৈথুনের মতো মানসিক রোগ এড়ানো যায়।

আপনার পর্ন ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকা উচিতঃ হস্তমৈথুনের ইচ্ছার প্রথম এবং প্রধান কারণ হল পর্ন ওয়েবসাইট। পর্ন ভিডিও দেখে হস্তমৈথুন করার ইচ্ছা প্রকাশ পায়। তাই হস্তমৈথুন এড়াতে পর্ন ওয়েবসাইট থেকে দূরে থাকতে হবে। আপনি যখন পর্নো ভিডিও দেখতে চান তখন অন্য কোনও সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।

দাম্পত্য জীবন যাপন করতে হবেঃ আপনার বিবাহযোগ্য বয়স হলে বিয়ে করুন এবং বিবাহিত জীবন যাপন করুন। হস্তমৈথুন এড়াতে এটি একটি স্থায়ী সমাধান। তাহলে হস্তমৈথুনের মতো মানসিক ব্যাধি থেকে যেমন মুক্ত থাকবেন, তেমনি বিয়ের পরের জীবন হয়ে উঠবে আরও সমৃদ্ধ ও আনন্দময়, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনকে করে তুলবে মধুর।

ধ্যান এবং যোগাসন বা ব্যায়াম করতে হবেঃ ধ্যান মানুষকে শক্তিশালী, সহনশীল এবং ধৈর্যশীল করে তোলে। আর যোগব্যায়াম ও ব্যায়াম শরীরকে ফিট ও সক্রিয় করে তোলে। শরীর ও মন যখন একত্রে নিশ্চিন্ত থাকে তখন হস্তমৈথুনের মতো বিষয় মাথায় আসে না। তাই এই অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রাখতে প্রতিদিন ধ্যান, যোগব্যায়াম, ব্যায়ামের মতো অনুশীলনে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।

হস্ত মৈথুনের পর কি খেতে হবে

যেহেতু হস্তমৈথুনের ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান ও পুষ্টিগুণ বের হয়ে যায়, তাই হস্তমৈথুনের পর প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। যারা নিয়মিত হস্তমৈথুন বা হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত তারা অবশ্যই জানেন হস্তমৈথুনের পর কি খাবেন। আর দৈহিক আকৃতি ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে ওই সব খাবার নিয়মিত খেতে হবে, বিশেষ করে হস্তমৈথুনের পর।

এবার দেখা যাক হস্তমৈথুনের পর কী খাবেন এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আর কী করবেন:

পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ যেহেতু হস্তমৈথুন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটায়, তাই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতিদিন, বিশেষ করে হস্তমৈথুনের পর ৪-৫ লিটার পানি পান করা খুবই জরুরি।

ভিটামিন ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিতঃ যেহেতু হস্তমৈথুনের ফলে ভিটামিন ও প্রোটিন নিঃসৃত হয়, তাই হস্তমৈথুনের পর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, দুধ, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিতঃ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম বা যোগব্যায়ামও করা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম শরীর ও মন উভয়কেই সুস্থ রাখে, যা হস্তমৈথুনের কারণে বায়ুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

এগুলো মেনে চললে হস্তমৈথুনের ফলে সৃষ্ট বায়ুর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এগুলো মেনে চলার পরও যদি শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা না কমে এবং তা যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে, তাহলে লজ্জা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

প্রতিদিন বীর্য ফেললে কি হয়

এই বিস্তারিত আলোচনার পর, প্রতিদিন বীর্য ফেললে কি হয় অথবা প্রতিদিন হ্যান্ডেল মারলে কি হয় তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। তবুও আরো একবার হস্ত মৌথুনের ভালো ও মন্দ দিকগুলি আলোচনা করা হল।

প্রতিদিন বীর্য ফেললে বা প্রতিদিন বীর্যপাত করলে:
  • শীঘ্র পতনের মতো রোগে আক্রান্ত হয়।
  • বীর্য পাতলা হয় ও বীর্যের গুণমান হারিয়ে যায়।
  • মিলনের সময় সমস্যা দেখা দেয়।
  • প্রজননের সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
  • সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
  • চুল পরে যায়।
  • দৈনন্দিন কাজে বেখ্যাত ঘটে।
  • যৌন উত্তেজনা হ্রাস পায়।
  • দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ডেকে আনে।
  • লিঙ্গ বা যোনি তে জ্বালা ও ব্যাথা অনুভব হয়।
  • দৃষ্টি শক্তি কমে যায়।
  • মানসিক অস্থিরতা দেখা যায়।
  • শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
  • শারীরিক গঠন ভেঙে পরে।

মাস্টারবেশন করার নিয়ম

হস্তমৈথুন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে কেউ নিজের যৌনাঙ্গকে উত্তেজিত করে যৌন তৃপ্তি পেতে পারে। যদিও পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই তাদের নিজস্ব যৌন চাহিদার উপর ভিত্তি করে হস্তমৈথুন করতে শেখে, হস্তমৈথুনের নিয়মগুলি নতুনদের জন্য এবং যারা এখনও তাদের হস্তমৈথুন প্রক্রিয়াটি সঠিক কিনা তা নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

আর একটি কথা মনে রাখবেন উত্তেজনার কারণে যৌনাঙ্গের ক্ষতি হয় এমনভাবে কখনোই হস্তমৈথুন করা উচিত নয়। তাই ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই হস্তমৈথুনের নিয়ম সঠিকভাবে জানা খুবই জরুরি।

ছেলেদের মাস্টারবেশন করার নিয়ম

ছেলেদের হস্তমৈথুনের প্রধান প্রক্রিয়াটি হল হাত দিয়ে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ এবং মাঝখানে আলগাভাবে ধরে রাখা এবং হাতটিকে বারবার উপরে এবং নীচে নাড়ানো, লিঙ্গের অগ্রভাগের অগ্রভাগের চামড়া উন্মুক্ত করা এবং ঢেকে রাখা। এইভাবে, মুখের চামড়া বারবার গ্ল্যান্স লিঙ্গের বিরুদ্ধে ঘষে, যার ফলে ছেলেরা যৌন আনন্দ উপভোগ করে বা যৌন তৃপ্তি পায়। যখন যৌন তৃপ্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে তখন বীর্যপাত হয়।

অন্যদিকে যাদের অগ্রভাগের চামড়া কেটে গেছে তাদের ক্ষেত্রে হাতের তালুর সাথে গ্লানস লিঙ্গের ঘর্ষণে হাত উপরে নিচে নাড়াতে লিঙ্গ উত্তেজিত ও বীর্যপাত হয়।
অনেকে মুষ্টির পরিবর্তে তাদের বুড়ো আঙুল এবং তর্জনী দিয়ে হস্তমৈথুন করে। আবার বিছানায় শুয়ে লিঙ্গ বালিশ বা গদিতে ঘষে বীর্যপাত করাকেও হস্তমৈথুন বলা যেতে পারে।

  • তবে হস্তমৈথুন করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে যাতে লিঙ্গের কোনো ক্ষতি না হয়। এবার জেনে নেওয়া যাক কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং ছেলেদের হস্তমৈথুন করার নিয়ম।
  • যেহেতু ছেলেরা হস্তমৈথুনের সময় লিঙ্গের পৃষ্ঠে প্রচুর ঘর্ষণ অনুভব করে, তাই হস্তমৈথুনের সময় ভ্যাসলিন বা অন্য কোনো লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা উচিত।
  • আপনার পিঠে শুয়ে বালিশ বা গদির সাথে আপনার লিঙ্গ ঘষা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এতে পুরুষাঙ্গের ত্বকে আঁচড় ও ফুসকুড়ি হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
  • হস্তমৈথুনের সময় কখনোই লিঙ্গে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা উচিত নয়, কারণ এর ফলে লিঙ্গে আঘাত ও ব্যথা হতে পারে এমনকি লিঙ্গ বিকৃতি হতে পারে।
  • ঘন ঘন হস্তমৈথুন শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা মহিলার প্রতি 2-3 দিনে একবার হস্তমৈথুন করা উচিত। তবে শারীরিক ও মানসিক চাহিদার ভিত্তিতে দিনে একবার হস্তমৈথুন করা যেতে পারে।

মেয়েদের মাস্টারবেশন করার নিয়ম

মহিলাদের হস্তমৈথুনের প্রধান প্রক্রিয়া হল যৌন তৃপ্তি অর্জনের জন্য আঙ্গুল বা অন্যান্য জিনিসের সাহায্যে যোনি বা ভালভা এবং ভগাঙ্কুরকে উত্তেজিত করা এবং যৌন তৃপ্তি উপভোগ করা। অনেকে আবার যোনির ভেতরে আঙ্গুল, ডিলডো, ভাইব্রেটর এমনকি বেগুন ঢুকিয়েও হস্তমৈথুন করেন। ফলে মেয়েদের শরীরে যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং অর্গ্যাজম হয় যা মেয়েদের যৌন তৃপ্তি দেয়।

মেয়েদের ক্ষেত্রে আঙুল তোলা বা হস্তমৈথুন করার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সাবধানে আঙুল তোলা না হলে, যোনির বাইরে এবং ভিতরে ক্ষত হতে পারে। এবার দেখা যাক মেয়েদের কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং মেয়েদের হস্তমৈথুন করার নিয়ম।
  • যোনিপথে অতিরিক্ত ঘর্ষণ ত্বকে স্ক্র্যাচ এবং ফুসকুড়ির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই হস্তমৈথুনের সময় খেয়াল রাখতে হবে কোমল হাতে কাজটি সম্পন্ন করতে।
  • অনেকে তাদের প্যান্ট বা জামাকাপড়ের উপর হাত ঘষে বা উরুর মধ্যে একটি বালিশ রেখে হস্তমৈথুন করে, এতে যৌনাঙ্গের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
  • অনেক মেয়ে উত্তেজিত হয়ে আনন্দের জন্য তাদের যোনিপথে আঙ্গুল এবং অন্যান্য লিঙ্গ আকৃতির বস্তু ঢুকিয়ে দেয়, যা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বহন করে। তাই যোনিপথে অস্বাস্থ্যকর কিছু ঢোকানো উচিত নয়।
  • কিছু বস্তু যোনিতে ঢোকানো উচিত নয় যেগুলি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বস্তুটি ভেঙ্গে যায় এবং যোনিতে ঢোকানোর পরে ভিতরে থেকে যায়, তাহলে আপনাকে চিকিৎসা সহায়তা চাইতে হতে পারে বা এমনকি অস্ত্রোপচারও করতে হবে।
  • হস্তমৈথুনের সময় অবশ্য মেয়েদের যৌনাঙ্গ থেকে এক ধরনের তরল পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা লুব্রিকেন্ট হিসেবে কাজ করে। যদি তা না হয় তবে ভ্যাসলিন বা এ জাতীয় কোনও ক্রিম লুব্রিকেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা উচিত বা প্রয়োজনে নিজের লালাও ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url