ব্লগিং থেকে টাকা আয় করার সেরা ৫ টি উপায় জেনে নিন

আপনারা এখনো চিন্তিত আপনার আদৌ ভাবছেন ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। হ্যাঁ সত্যি সত্যি ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করা যায় যদি সেটি সঠিক পদ্ধতি দিতে হয় এবং গুগল এর কিছু নিয়ম নীতিমালা আছে যদি সেগুলো সঠিকভাবে মারা যায় তাহলে ব্লগিং থেকেও টাকা ইনকাম করা যায়। তাহলে চলুন আজকে আমরা সেই বিষয়গুলোই জেনে আসি যে কিভাবে ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। ব্লগিং থেকে টাকা আয় করা পাঁচটি উপায় সম্পর্কে এবার জানা যায়।

ব্লগিং থেকে টাকা আয় করার সেরা ৫ টি উপায় জেনে নিন

আপনি যদি একটি ব্লগ সাইট থেকে থাকে তাহলে হাই ইনকাম করার কোন কথা ভেবে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন যে আপনার কাছেও কিন্তু একটি ইনকাম বা আয় উপার্জন করার সুবিধা রয়েছে। ব্লকে যদি আপনি বিভিন্ন রকম উপায় দিয়ে মনিটাইজেশন করতে পারেন তাহলে আপনি গুগল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারবেন। 

মনিটাইজেশন কি? 

এবার যে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার জানতে চলেছেন সেটি হল মনিটাইজেশন কি মনিটাইজেশন হলো আপনার সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার একটি উপায়। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে কোন রকমের অনলাইন কনটেন্ট পাবলিশ করে থাকেন এবং সেটি যদি গুগলে হয় তাহলে আপনি সেখানে অ্যাডভার্টাইজ করে আপনার ওয়েবসাইট থেকে টাকা পয়সা উপার্জন করতে পারবেন। আর এই অ্যাডভার্টাইজ টা আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসাটাই হলো মনিটাইজেশন। 

ব্লগিং থেকে টাকা আয় করার সেরা ৫ টি উপায়-ব্লগিং থেকে টাকা আয় করব কিভাবে?

  1. বিজ্ঞাপন বা অ্যাডভার্টাইজ-(Advertisement)
  2. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং -(Affiliate marketing)
  3. সরাসরি কোন প্রোডাক্টের ভিউ করে বা ডিজিটাল প্লাটফর্মে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করা -(product sell)
  4. সাবস্ক্রিপশন বা সাবস্ক্রাইব-(subscription)
  5. কোচিং বা শিক্ষা -(Training)

কিভাবে আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে এ কাজগুলি করতে পারেন তা মনিটাইজেশনের এই প্রত্যেকটি বিষয়কে ভালো করে বুঝে নেওয়া যাক। 

বিজ্ঞাপন বা অ্যাডভার্টাইজ এর মাধ্যমে মনিটাইজেশনঃ

যদি আপনি টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে আপনার ব্লকের মধ্যে বিজ্ঞাপন দিন। আপনি যদি একটি ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কন্টেন্টের যদি বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে যে সকল অডিয়েন্স বা ট্রাফিক আপনার কন্টেন্টগুলো পড়তে আসবে সেই ট্রাফিক গুলোর মাধ্যমে আপনি টাকা পয়সা উপার্জন করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ 15000 টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল বাংলাদেশ 2025

ঠিক এভাবেই আপনার ওয়েবসাইটটি আপনার ট্রাফিকদের কাছে যত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আপনি তত বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে যে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের বিজ্ঞাপন আপনি দেখাতে চান সেগুলোর একটি অফার তৈরি করতে পারেন এবং এগুলোকে বলা হয় ডিল করা আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন দেখাতে চান তাহলে আপনাকে google এডসেন্স এর মত একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হবে। 

আপনার ব্লগের নির্দিষ্ট যে সকল পৃষ্ঠা গুলো রয়েছে সেগুলোতে আপনার ট্রাফিকের উপস্থিতির মাধ্যমে সকল কনটেন্টের যে সকল প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে এডসেন্স হলো একটা অন্যতম যেমন আপনার ব্লগটি যদি কোন অ্যাডভেঞ্চার বা ভ্রমণ টাইপের হয়ে থাকে তাহলে এবং google এ এইমাত্র কোন পোস্ট পাবলিশ করে থাকলে এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে এড দেখানোর মাধ্যমে আপনাকে পেমেন্ট করে থাকে। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ঃ

প্রোডাক্টের সুপারিশ করে টাকা উপার্জন করুন এফিলিয়েট মার্কেটিং টা আসলে কি এফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনি যখন অন্য কোন ওয়েবসাইটের পণ্য বিক্রয় করতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন এবং আপনার কন্টেন্টের মধ্যে সেই লিংক অন্তর্ভুক্ত করবেন এবং আপনার অডিয়েন্সরা যখন আপনার ওয়েবসাইটে কোন কন্টেন্ট পড়তে আসবে তখন সেই মধ্যে যদি এই লিঙ্কটিতে কেউ ক্লিক করে এবং আপনার এই পণ্যটি যদি কেউ ক্রয়ের জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে তাহলে আপনি সেখান থেকে যে কমিশন পাবেন সেটাই হল এফিলেন্ট মার্কেটিং। 

অ্যাডভেঞ্চার, ট্রাভেলিং এ সমস্ত ব্লগ গুলিকে এফিলেট মার্কেটিং এর জন্য একটি নিদর্শন উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। মনে করুন আপনি সাঁতার কাটা একটি দুর্দান্ত লোকেশন সম্পর্কে পোস্ট করতে চলেছেন তো এখানে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়াতে যে সকল বিষয়গুলো আপনাকে লিখতে হবে সেগুলো হল সুইম স্যুট, তোয়ালে এবং চশমা। 

যদি আপনার ব্লগের মধ্যে সাজেস্ট করা সুইমস্যুট, তোয়ালে এবং চশমাতে কোন ব্যাক্তি ক্লিক করে এবং সেটি কিন্তু আগ্রহ হয় তাহলে আপনি সেখান থেকে টাকা পয়সা উপার্জন করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে ইনকাম করতে হলে আরেকটি বিষয় সেটি হল আপনার ট্রাফিকদের মনাকর্ষণ বা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে হবে।

সরাসরি বা ডিজিটাল প্লাটফর্মে পণ্যের অফার-আপনার ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে হলে পণ্য বিক্রি করুন 

যদি আপনি আপনার নিজের ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে পণ্য বিক্রি করতে হবে একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার চেষ্টা করুন এবং সেখানে আপনার প্রোডাক্টের ফিজিক্যালি বা ডিজিটাল ভাবে বিক্রি করতে পারেন। আপনার প্রোডাক্ট ফিজিক্যলি হোক আর ডিজিটাল ই হোক আপনাকে পেমেন্ট গ্রহণ করতে হলে একটি সিস্টেম তৈরি করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ দুবাই যেতে কত টাকা লাগে ও কোন ভিসার বেতন কত ? জেনে নিন বিস্তারিত

ফিজিক্যালি হবে প্রোডাক্ট বিক্রি করার সময় আপনাকে যে বিষয়গুলো খুব সতর্কতার সহিত মাথায় রাখতে হবে তা হল আপনাকে যে কোন পণ্য স্টক করতে হবে, শিপিং অর্গানাইজ করতে হবে এবং তার কর ও শুল্ক ম্যানেজ করতে হবে। ডিজিটাল প্রোডাক্ট লজিস্টিক্যালি কম জটিল হওয়ার কারণে সেগুলো অনলাইনে আপনি ডেলিভারি দিতে পারেন। 

সাবস্ক্রিপশন বা সাবস্ক্রাইব-আয়ের নতুন একটি স্ট্রিম যোগ করতে হলে স্বল্পমূল্যের চার্জ গ্রহণ করুন 

যদি আপনার ব্লকের মধ্যে এমন কোন বিষয়বস্তু থাকে যেগুলো আপনার অডিয়েন্স বা ট্রাফিক জানতে আগ্রহী সে ক্ষেত্রে আপনি দীর্ঘমেয়াদ এর আইন কাম করার জন্য পেড মেম্বারশিপ বা সাবস্ক্রিপশন হতে পারে আপনার কন্টেন্টের জন্য একটি অন্যতম উপায়। এ ধরনের ব্যবসাতে পাঠকরা নিয়মিতভাবে বা মাসিক অথবা বার্ষিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ পে করে থাকে। 

এভাবে অডিয়েন্স দিয়ে  কাছ থেকে মেম্বারশিপ বা সাবস্ক্রিপশন ফি আপনার আয় ইনকামকে আর উন্নত করতে পারেন। এ ধরনের অফার গুলো আপনার সঠিকভাবে উপার্জনের স্টিমের সম্ভাবনা অফার করে থাকে। বিনিময় আপনি আপনার সাবস্ক্রাইবার বা মেম্বার প্রিমিয়াম কনটেন্ট, কমিউনিটি এরিয়া, শেখার সংস্থান ভিডিও বা অতিরিক্ত পরিষেবা যেগুলো সরবরাহ করতে পারেন আপনার ব্লগে মধ্যে মানুষের হবে সেগুলোর এলিমেন্ট একত্রিত করতে হবে।

কোচিং বা শিক্ষাদান করা ঃ ট্রেনিং এর মাধ্যমে আপনার ব্লগিংকে মনিটাইজেশন করুন 

আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে দুই উপায়ে ইনকাম করতে পারেন সেটি হল একটি কোচিং প্যাকেজ যেটি হলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ইনকাম বৃদ্ধি করার জন্য একটি অনলাইন কোর্স চালু করতে পারেন যেখানে আপনি একটি চার্জ বসিয়ে টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যখন একটি ভিডিও ডাউনলোড করা যাবে এমন ইবুকের মতো শনির্দেশিত শিক্ষামূলক উপকরণ তৈরি করুন এবং আপনি আপনার পাঠকদের মধ্যে যারা আপনার মেম্বার তাদের নিজেদের মত করে এগিয়ে যাওয়ার মত পারমিশন দিয়ে রাখুন। 

যে সকল ব্যক্তিরা আপনার কোর্স করবে আপনি তাদের কাছ থেকে যে বিষয়গুলো তারা জানতে আগ্রহী সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন। একটি অনলাইন পাঠক্রম ডেভেলপমেন্ট করতে হলে আগে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে সময় এবং সংস্থান তৈরি করতে হবে সুতরাং একটি কার্যকর উপায় তৈরি করতে হলে আপনাকে ট্রাফিক দরকার হবে। 

আপনার আয় ইনকাম বৃদ্ধির জন্য আরেকটি বিষয় হলো লাইফ ভিডিও ট্রেনিং অফার করা যেগুলোতে আপনি সময় দিচ্ছেন বলে আপনাকে টাকা দিতে হবে। আপনার অফারটি অনলাইন কোর্স বাডিমেন্ট কোচিং যার উপরে ভিত্তি গ্রহণ হোক না কেন আপনি আপনার ছাত্রছাত্রীদের ইমেইলের মাধ্যমে আপনার ব্লগিংয়ের যে সমস্ত বিষয়গুলো তারা জানতে আগ্রহী সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। 

মন্তব্য ঃ ব্লগিং থেকে টাকা আয় করার ৫ টি উপায় 

প্রিয় পাঠকগন আমি এতক্ষণ আপনাদেরকে অনলাইনে কিভাবে ব্লগের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় সেগুলো আপনাদেরকে জানাতে চেষ্টা করেছি যদি আপনাদের আরো কিছু জানা থাকে তাহলে নিজে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন এবং ইনকাম বিষয়ক বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিকস পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভ্রমণ করুন। সেই সাথে আপনারা কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমাদেরকে কমেন্ট করে জানালে আমরা সেই বিষয়ে তথ্য দিয়ে আমরা আপনাদের সেবা করতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url